
কিন্তু পরিচালকের পূর্ণ আস্থা ছিল তাঁর নিজের কাজের ওপর। তিনি হাল ছাড়লেন না। শেষমেষ নবিন প্রযোজকদের সাহায্যে মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার ডলারে, হাতেগোনা ক’জন কর্মীর সাহায্যে ১৭দিন কাজ করে বানালেন সিনেমাটি। এবং তা দুনিয়াজুড়ে আয় করলো প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার। এবং পকেটে পুরলো বেশ কিছু ভারি অ্যাওয়ার্ড।
এই ছবির গানগুলো গেয়েছেন এবং কম্পোজ করেছেন কার্নির বন্ধু গ্লেন হ্যানসার্ড আর মার্কেটা ইর্গ্লোভা। পরিচালক যখন দেখলেন এত কম বাজেটে অভিনেতাদের ধরে রাখা যাচ্ছে না, তখন তিনি খুব সাহসী একটা কাজ করে ফেললেন। গ্লেন আর মার্কেটাকেই বললেন এই সিনেমায় অভিনয় করার জন্য।
আর বন্ধুর অনুরোধে ঢেঁকিও গিললেন গ্লেন আর মার্কেটা। কিন্তু এতে সাপে বর হলো। তাঁদের আর আলাদা করে গান গাওয়ার অভিনয় করতে হলো না। খুবই সাবলীল হলো তাঁদের অংশগ্রহণ। দর্শক মাতালেন এবং কাঁদালেন তাঁদের সতঃস্ফূর্ততা দিয়ে।
পয়সা বাঁচানোর জন্য কার্নি শ্যুট করলেন দিনের আলো ব্যবহার করে আর সেট ছিল তাঁর বন্ধুদের বাড়ি। ডাব্লিনের রাস্তার দৃশ্যগুলো শ্যুট করা হলো পারমিট ছাড়াই, ‘লং লেন্স’ ব্যবহার করে। এ কারণে অধিকাংশ পথচারীই বুঝতে পারেননি যে ওখানে সিনেমার শ্যুটিং চলছে। ফলে সিনেমাটি হলো আরো বাস্তব সম্মত। আর এতে করে সুবিধাই হলো অনভিজ্ঞ অভিনেতাদের। নাকের ডগায় ক্যামেরা না থাকায় স্বচ্ছন্দেই অভিনয় করলেন তাঁরা।
তাঁদের গাওয়া ‘ফলিং স্লোলি’ গানটি ২০০৮ সালে অস্কার পায় ‘বেস্ট অরিজিনাল সাউন্ড ট্র্যাক’ ক্যাটাগরিতে।
সিনেমার কাহিনীতে গ্লেন আর মার্কেটার এক জনকে আরেক জনের ছেড়ে চলে যেতে হলেও, বাস্তবে তাঁরা ঠিকই জুটি বেঁধেছিলেন।