আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে খুব বেশি উন্নত
ছিল না কিছু দিন আগেও। ৭০-এর দশকে হঠাৎ করেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে আইরিশ
সংস্কৃতিতে। সে সময়কার যুব সমাজের মধ্যে থেকে যে ক’টা চেহারা পুরো পৃথিবীতে পরিচিত
হয়ে যায়, তাদের মধ্যে চার জন হল, পল ডেভিড হিউসন ওরফে বনো, ডেভিড হাউয়েল ইভ্যানস
ওরফে দ্য এজ ( the edge), অ্যাডাম ক্লেটন আর ল্যারি মিউয়েল জুনিয়র।
এই চারজন মিলে ১৯৭৬ সালে গড়ে তোলে ইউ-টু
ব্যান্ডটি। পাঙ্ক থেকে শুরু করে রক পর্যন্ত সব ধরণের মিউজিকই কম্পোজ করেছে ব্যান্ডটি।
যখন তৈরি হল এই ব্যান্ড, তখন এর সদস্যরা মাত্র টিনেজার। কিন্তু দশক ঘুরতে না
ঘুরতেই তারা প্রথম সারির আন্তর্জাতিক পারফর্মার হয়ে দাঁড়ালো। ১৯৮৭ সালে বের হল
তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া অ্যালবাম, দ্য জশুয়া ট্রি’। রোলিং স্টোনস ম্যাগাজিন
প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে লিখেছিল, ‘বীর বিপ্লবী থেকে মহাতারকায় পরিণত হয়েছে ইউ-টুর
সদস্যরা’।
এ পর্যন্ত তারা ১২টি অ্যালবাম মুক্তি দিয়েছে, যার ১৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে বিশ্বব্যাপী। আর অসাধারণ সব গান গেয়ে ঝুলিতে ভরেছে ২২টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড, যা পৃথিবীর অন্য যে কোন ব্যান্ডের চেয়ে বেশি। সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ শিল্পীর তালিকায় যে তাদের নাম থাকবে তা তো খুবই স্বাভাবিক। ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় জুড়েই তারা যুদ্ধ করে গেছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার জন্য। প্রায় চার দশক ধরে একই রকম জনপ্রিয়তা ধরে রেখে এখনো দর্শক মাতিয়ে চলেছে ইউটু।
No comments:
Post a Comment