Sunday, November 25, 2012

ইভ্যানেসেন্স


১৯৯৫ সালে এমি লি নামের ১৪বছর বয়সী এক প্রতিভাবান কিশোরী হঠাৎ করেই ঠিক করল সে একটা রক ব্যান্ড তৈরি করবে। ১৪বছর বয়সেই সে উচ্চঙ্গ আঙ্গিকে পিয়ানো বাজানো শিখেছিল। গানও গাইতে পারত চমৎকার। একই বয়সী কিশোর বেন মুডির সাথে মিলে এইমি তৈরি করে ফেলল ব্যান্ডটি। ভাবনা চিন্তা করে ব্যান্ডের নাম ঠিক করা হল ইভ্যানেসেন্স। লিটল রক শহরের এই ব্যান্ড ব্যাপক জনপ্রিয় হয় সেই এলাকায়।

তৈরি হল রকের নতুন এক ধারা। খুব অল্প সময়েই পুরো পৃথিবীর রকভক্তদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠলো ইভ্যানেসেন্স। ২০০৫ সালে প্রথম অ্যালবাম 'ফলেন' মুক্তির পর পরই পেয়ে গেল ৭টি মনোনয়নসহ ২টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড।

এরপরই ভাঙ্গন ধরতে শুরু করে ব্যান্ডে। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত চলে ব্যান্ড সদস্যদের যাওয়া আসা। এর মধ্যেই এইমি শক্ত হাতে হাল ধরে রেখে চালিয়ে যায় গান। কঠোর পরিশ্রমের ফলে ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ইভ্যানেসেন্সের ২য় স্টুডিও অ্যালবাম 'দ্য ওপেন ডোর'। পরিশ্রমের ফলও হল সেরকম। বিলবোর্ডের প্রথম ২০০ অ্যালবামের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করল অ্যালবামটি।

প্রায় ৫ বছর উধাও থাকার পর ২০১১ সালের শেষে মুক্তি পায় ব্যান্ডটির ৩য় স্টুডিও অ্যালবাম, 'ইভ্যানেসেন্স'। নতুন লাইন আপ নিয়ে ফেরত এসে এবারও বাজিমাত করে এইমি। এই অ্যালবামটিও বিলবোর্ড অ্যালবাম তালিকার শীর্ষে চলে আসে। শুধু তাই না, আরো ৪টি তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে এটি। বর্তমানে এই অ্যালবামের প্রমোশনের জন্য ব্যান্ডটি বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর করে বেড়াচ্ছে। 

সাইকাডেলিক রক..


এলএসডি। পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ড্রাগ। এলএসডি নিলে নাকি আলোর অষ্টম রং দেখা যায়। তবে এলএসডি না নিয়েও যদি এর প্রভাব অনুভব করার কোনো উপায় বের করা যেত, তবে নিঃসন্দেহে সেই উপায়টার নাম হতো সাইকাডেলিক রক। এটা মিউজিকের নতুন এক অনুভূতির নাম।

শুরুটা হয়েছিল ষাটের দশকের মাঝামাঝি অ্যামেরিকা আর ইংল্যান্ডে। এলএসডি এবং এই জাতীয় হ্যালুসিনোজেনিক মাদকের নেশাকে আরো প্রবল, পাকাপোক্ত করার উদ্দ্যেশ্যেই তৈরি করা হয় এই জনরা। এই ধরণের মিউজিকে বেইজ গিটার, ড্রাম, ইলেকট্রনিক অরগ্যানের পাশাপাশি ব্যাবহার করা হয় ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র সেতারও। ব্লুজ, রক, জ্যাজ, ভারতীয় রাগ, আরএনবি এইসব জনরার প্রভাব রয়েছে সাইকাডেলিক রকে।

এই জনরার পথ দেখিয়েছে দ্য বিটলস, দ্য ডোরস, পিঙ্ক ফ্লয়েড, বব ডিলানের মতো কিংবদন্তীরা। ১৯৬৯ সালে উডস্টক রক ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছায় সাইকাডেলিক রক। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের বারুদ ছড়াতে শুরু করে এই ধারা। নানা অসঙ্গতি-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে তরুণ সমাজ।

সাইকাডেলিক রক থেকে জন্ম নেয় সাইকাডেলিক পপ এবং সাইকাডেলিক সোল জনরা দু'টি। এছাড়াও ব্লুজ রক, লোকজ সঙ্গীতের সাথে প্রগ্রেসিভ রক আর হার্ড রকের সংমিশ্রণ ঘটায় সাইকাডেলিক রক। জন্ম নেয় 'হেভি মেটাল', যা এসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জনরাগুলোর একটি।

Saturday, November 24, 2012

ব্রিটিশ গায়িকা ডাইডো

পুরো নাম, ডাইডো ফ্লোরিয়ান ক্লাউড ডি বর্নভিএইল ওম্যালি আর্মস্ট্রং। এত লম্বা নাম হওয়ার কারণেই ডাইডোর পুরো নাম কেউ জানে না। দেখতে বাচ্চাদের মতো মিষ্টি কিন্তু গলার স্বর বেশ ভারি আর পরিণত। কবি মা আর প্রকাশক বাবার ঘর আলো করে ১৯৭১ সালের ক্রিসমাস-ডেতে জন্ম নেন ডাইডো। বাবা-মা শখ করে বিশাল নাম রাখলেও এই নামের বিড়ম্বনা কম ছিল না। নামের জন্য ছোটবেলায় নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ডাইডোকে।

ডাইডো প্রথম ডেমো ট্র্যাক রেকর্ড করেন ১৯৯৫ সালে। এই ট্র্যাকগুলোকেই একসাথে করে তৈরি হয় অ্যালবাম 'অডস অ্যান্ড এন্ডস'। 
এই অ্যালবামের প্রথম গান 'হিয়ার উইথ মি' টেলেভিশন শো রসওয়েলের থিমসং হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পরপরই ২০০০ সালে অ্যামেরিকান র‌্যাপার এমিনেম তাঁর 'স্ট্যান' নামের গানে ব্যাবহার করেন ডাইডোর 'থ্যাংক ইউ' গানের প্রথম কলি এবং সাথে সাথেই  ইংল্যান্ডের পাশাপাশি অ্যামেরিকায়ও তুমুল পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পায় ডাইডোর গন। এরপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি।


পরের অ্যালবাম লাইফ ফর রেন্ট মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। এবং মুক্তির প্রথম দিনেই এক লাখ বাহান্ন হাজার কপি বিক্রি হয় অ্যালবামটির। ইংল্যান্ডে সবচেয়ে ব্যাবসা সফল অ্যালবামের তালিকায় লাইফ ফর রেন্ট রয়েছে ৪ নম্বরে। এরপর একে একে বের হয় ডাইডোর অন্যান্য অ্যালবাম। কিন্তু প্রথম অ্যালবামগুলোর মত জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি পরেরগুলো।


২০১০ সালে 127 hours ফিল্মে এ আর রাহমানের কম্পোজিশনে ইফ আই রাইজ গানটি করেন ডাইডো, যা ৮৩তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পায়। অ্যালবামের ব্যাপারে অমনোযোগী হয়ে পড়া ডাইডো আজকাল বিভিন্ন ফিল্মের জন্য গান করতেই পছন্দ করেন। কিন্তু ডাইডো ভক্তরা এখনো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে তাঁর নতুন অ্যালবামের জন্য।


Saturday, November 10, 2012

সুইসাইড নোট




স্বপ্নবুড়ির কোলে চড়ে যাব আমি রঙের দেশে,

সেখান থেকে কিনব আলো, সাজব ইন্দ্রধনুর বেশে,

আলোগুলো ছড়িয়ে দেব সবার মাঝে হেসে হেসে,

থাকবে সবাই আলোয় আলোয় আনন্দ আর সুখের রেশে,

তখন আমি হারিয়ে যাব, রাখবে না কেউ মনের পাশে,

আলোগুলো ফুরিয়ে গেলে খুঁজবে সবাই আমায় শেষে,

স্বপ্নবুড়ি আমায় তখন ঘুম পাড়াবে ভালবেসে।



Friday, November 9, 2012

ডেমি মুর...






১৬ বছর বয়সে হাইস্কুল পাস না করেই নেমে পড়েন মডেল হওয়ার প্রচেষ্টায়। ১৮বছর বয়সে তাঁর নগ্নছবি প্রকাশিত হয় একটি ম্যাগাজিনে। এই হলেন ডেমি গাইনস, যাঁকে আমরা চিনি ডেমি মুর নামে!! খুবই অসুখী আর বিশৃঙ্খল একটি ছেলেবেলা কাটিয়েছেন। যার প্রভাব স্বাভাবিক ভাবেই পড়েছে তাঁর বাকি জীবনের ওপর।

১৩ বছর বয়সে জানতে পারেন যাকে তিনি বাবা বলে জানেন, তিনি আসলে সৎবাবা। অন্যদিকে ছোটবেলা থেকেই মা-এর অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ তাঁকে ফেলে নানা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।

১৮ বছর বয়সে জীবনের প্রথম বিয়েটি করেন ডেমি। ফ্রেডি মুর নামের এই মিউজিশিয়ানের সাথে সংসার টেকে মাত্র ৫ বছর। এর ২বছর পরই বিয়ে করেন হলিউড সুপারস্টার ব্রুস উইলিসকে এবং জন্ম দেন তিনটি সন্তানের। এক যুগ সুখে সংসার করার পর এই বিয়েটিও ভেঙ্গে যায়। এরপর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন তাঁর চেয়ে পাক্কা ১৬ বছরের ছোট তখনকার উঠতি হলিউড স্টার অ্যাশটন কুচারকে। ঠিক এক বছর আগে বিচ্ছেদ ঘটে এই জুটিরও।



এখন তিনি একাই আছেন। সিনেমা করেন না তেমন একটা। অবশ্য তার দরকারও নেই। ডেমির করা ৯০-এর দশকের সিনেমাগুলোর জন্যই দর্শকরা তাঁকে মনে রাখবে সারা জীবন। গোস্ট, ইনডিসেন্ট প্রোপোজাল, আ ফিউ গুড মেন এবং স্ট্রিপটিজ করে আলোচনায় চলে আসা ডেমি মুর কখনোই হলিউড আলোচনা থেকে ছিটকে পড়েননি। ১১ই নভেম্বর এই সুন্দরীর ৫০ তম জন্মদিন।