Sunday, November 25, 2012

সাইকাডেলিক রক..


এলএসডি। পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ড্রাগ। এলএসডি নিলে নাকি আলোর অষ্টম রং দেখা যায়। তবে এলএসডি না নিয়েও যদি এর প্রভাব অনুভব করার কোনো উপায় বের করা যেত, তবে নিঃসন্দেহে সেই উপায়টার নাম হতো সাইকাডেলিক রক। এটা মিউজিকের নতুন এক অনুভূতির নাম।

শুরুটা হয়েছিল ষাটের দশকের মাঝামাঝি অ্যামেরিকা আর ইংল্যান্ডে। এলএসডি এবং এই জাতীয় হ্যালুসিনোজেনিক মাদকের নেশাকে আরো প্রবল, পাকাপোক্ত করার উদ্দ্যেশ্যেই তৈরি করা হয় এই জনরা। এই ধরণের মিউজিকে বেইজ গিটার, ড্রাম, ইলেকট্রনিক অরগ্যানের পাশাপাশি ব্যাবহার করা হয় ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র সেতারও। ব্লুজ, রক, জ্যাজ, ভারতীয় রাগ, আরএনবি এইসব জনরার প্রভাব রয়েছে সাইকাডেলিক রকে।

এই জনরার পথ দেখিয়েছে দ্য বিটলস, দ্য ডোরস, পিঙ্ক ফ্লয়েড, বব ডিলানের মতো কিংবদন্তীরা। ১৯৬৯ সালে উডস্টক রক ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছায় সাইকাডেলিক রক। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের বারুদ ছড়াতে শুরু করে এই ধারা। নানা অসঙ্গতি-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে তরুণ সমাজ।

সাইকাডেলিক রক থেকে জন্ম নেয় সাইকাডেলিক পপ এবং সাইকাডেলিক সোল জনরা দু'টি। এছাড়াও ব্লুজ রক, লোকজ সঙ্গীতের সাথে প্রগ্রেসিভ রক আর হার্ড রকের সংমিশ্রণ ঘটায় সাইকাডেলিক রক। জন্ম নেয় 'হেভি মেটাল', যা এসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জনরাগুলোর একটি।

1 comment:

  1. I dont think Dylan's music has any psychedelic element... but his lyrics have it...

    ReplyDelete